বিমানকে আরও ১০ হজ ফ্লাইটের স্লট দেওয়ার কথা ভাবছে সৌদি আরব
সৌদি আরবের সরকার ঢাকার অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে আরও ১০টি ডেডিকেটেড হজ ফ্লাইটের স্লট অনুমোদন দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে।
গত বুধবার (৭ জুন) মক্কায় সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক উপমন্ত্রী ড. আব্দুল ফাত্তাহ সুলাইমান তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীকে এ আশ্বাস দেন। গতকাল বৃহস্পতিবার দূতাবাসের ঢাকায় পাঠানো বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে সৌদি উপমন্ত্রী বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ইখলাস ও শৃঙ্খলার ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তার সরকার হজ ব্যবস্থাপনাকে আরও উন্নত করতে বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। কিছু হজ এজেন্সি বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য নির্ধারিত সময়ের আগে তাদের বাসস্থান ও ভিসার ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়। এতে বাংলাদেশের পতাকাবাহী বিমান পরিচালনা সংস্থা বেশ কয়েকটি হজ ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। এই প্রেক্ষাপটে বিমানকে আরও ১০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেছিল ঢাকা।
এ বিষয়ে বিমান বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. শফিউল আজিম জানান, তারা সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আরও ১০টি হজ ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তিনি বলেন, ‘সব হজযাত্রীদের সময় মতো নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের কিছু ব্যাকআপ পরিকল্পনাও রয়েছে।’
কিছু হজ এজেন্সির আন্তরিকতার অভাব রয়েছে অভিযোগ করে সংস্থাটির প্রধান বলেন, ফলে বিমানকে টাকা হারানোর পাশাপাশি যথাসময়ে সব হজযাত্রী বহনের চাপে পড়তে হয়।
শফিউল আজিম বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে দায়ী সংস্থার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বিষয়টি ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছি।’
গত দুই সপ্তাহে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ছয় হাজারের বেশি হজযাত্রীকে পেছনে ফেলে গেছে এবং ছয়টি হজ ফ্লাইট বাতিল করেছে। ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় গত রোববার (৪ জুন) ৯০ হজ এজেন্সিকে পরিস্থিতির জন্য দায়ী করে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট এক লাখ ২২ হাজার ২২১ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এরমধ্যে প্রায় ৬২ হাজার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং বাকিরা সৌদি এয়ারলাইন্স বা ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্সের মাধ্যমে যাবেন।