সবুজ, পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তিতে বাংলাদেশের অংশীদার হবে ডেনমার্ক
বাংলাদেশ ও ডেনমার্ক টেকসই উন্নয়নের জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন প্রযুক্তি এবং বিনিয়োগে অংশীদার হতে সম্মত হয়েছে। ডেনমার্ক নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জ্বালানি দক্ষতা, বৃত্তাকার অর্থনীতি, টেকসই নগরায়ণ, টেকসই পানি ব্যবস্থাপনা, জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, সামুদ্রিক, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং সমুদ্র অর্থনীতি খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা জোরদারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার (৯ জুন) ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কোপেনহেগেনে দ্বিতীয় বাংলাদেশ-ডেনমার্ক রাজনৈতিক পরামর্শে’ এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
রাজনৈতিক পরামর্শে নিজ নিজ পক্ষের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও ডেনমার্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন নীতিবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লোটে মাচোন। উভয় পক্ষই বাংলাদেশে ডেনমার্কের আরও বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশে ব্যবসা সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
রাজনৈতিক পরামর্শগুলো গত বছর দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত টেকসই ও সবুজ কর্মকাঠামো চুক্তির অধীনে ২০২৩-২০২৮ সময়ের জন্য বাংলাদেশ-ডেনমার্ক যৌথ কর্মপরিকল্পনা অনুমোদন করে।
১২-১৩ জুন ২০২৩ তারিখে ডেনমার্কের উন্নয়ন সহযোগিতা ও বৈশ্বিক জলবায়ু নীতিবিষয়ক মন্ত্রী ড্যান জর্জেনসেনের বাংলাদেশ সফরের সময় যৌথ কর্মপরিকল্পনাটি চালু করা হবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশেষ করে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডেনিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, ডিজিটাল অর্থনীতি এবং স্টার্টআপ বিষয়ে ডেনমার্কে আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণে সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।
উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উন্নয়ন এবং রোহিঙ্গা সঙ্কট, ইন্দো-প্যাসিফিক, ইউক্রেনের যুদ্ধ এবং জলবায়ু পরিবর্তনসহ পারস্পরিক স্বার্থ ও উদ্বেগের বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে মতবিনিময় করে। তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন নির্বাচন ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
রাজনৈতিক আলোচনার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব এবং ডেনমার্কের বাণিজ্য ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতাবিষয়ক স্টেট সেক্রেটারি লিনা গ্যান্ডলোজ হ্যানসেন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশে ডেনমার্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর উপায় নিয়ে আলোচনা করেন।
ডেনমার্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহিদুল করিম, বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি ইস্ট্রুপ পিটারসেন (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পশ্চিম ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন) কাজী রাসেল পারভেজ প্রমুখ রাজনৈতিক পরামর্শে যোগ দেন।