প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ডব্লিউটিওর মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/06/16/pm_wto_0.jpg)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মহাপরিচালক ড. ওকনজো ইওয়েলা। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রধানমন্ত্রীর আবাসস্থলে সাক্ষাৎ করতে আসেন ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক (ডিজি)। পরে সাংবাদিকদের ওই সাক্ষাতের বিষয়ে অবহিত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
ড. মোমেন বলেন, ডব্লিউটিওর মহাপরিচালক মৎস্য খাতে ভর্তুকি কমানোর পরামর্শ দিয়েছেন। তারা এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে। বাংলাদেশ অবশ্য মৎস্য চাষে বড় ধরনের ভর্তুকি দেয় না।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডব্লিউটিওর ডিজি ডব্লিউটিওর বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। এটি কতিপয় বড় দেশের ক্ষেত্রে কয়েক বছর ধরে নিষ্ক্রিয় রয়েছে।’
ডব্লিউটিওর ডিজি আগামী সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে কথা বলার সময় এই বিষয় তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান, যেন এই বিরোধ নিষ্পত্তি সংস্থা সক্রিয় হয়। ডিজি বলেন, ‘এটি ডব্লিউটিওর মূল শক্তি।’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে আবুধাবিতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মন্ত্রী পর্যায়ের ১৩তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নীতকরণ নিশ্চিত করা হবে।
ডব্লিউটিও ডিজি বাংলাদেশকে রপ্তানির ডালা বৈচিত্র্যময় করতে বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি চান, বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর নির্ভরতা হ্রাসে ওষুধ ও আইটি খাতের ওপর বেশি জোর দিক।
গভীর সমুদ্রে মৎস্য আহরণের বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এ খাতে বাংলাদেশের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ইতোমধ্যে মালদ্বীপ ও জাপানের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এরআগে একই স্থানে কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাত করেন এবং তিনি বলেন, তার দেশে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার বাংলাদেশি জনশক্তি কাজ করছে।
ড. আলী বিন সামিক আল মারি বলেন, এসব শ্রমিকের কর্মক্ষমতা নিয়ে তারা সন্তুষ্ট।
বৈঠক শেষে ড. মোমেন বলেন, ‘তারা (কাতার) বাংলাদেশ থেকে আরও জনবল নিতে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তারা এ জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’