ব্যাংকের কর্মচারীকে অপহরণ, তিন আসামির কারাদণ্ড
রাজধানীর শাহবাগ থেকে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মচারীকে অপহরণের পর বিবস্ত্র করে ছবি তুলে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টার মামলায় তিন আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ রোববার (১৮ জুন) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৫ এর বিচারক মো. ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) সোহানুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—মাহবুব খান, কামরুল খান ওরফে আকাশ এবং ওয়াহিদুর রহমান তুহিন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকেল ৪টায় সোনালী ব্যাংকের শাহবাগ শাখার কর্মচারী আবুল কালাম আজাদকে ফোন করেন মাহবুব খান। ফোনে তাকে ব্যাংকের সামনে আসতে বলেন। অফিস সময় শেষ করে সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে সেখানে যান আজাদ। তখন মাহবুব খানসহ দুই থেকে তিনজন তাকে অপহরণ করে রামপুরার ওয়াবদা রোডে একটি বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে।
অপহরণের পরে বিবস্ত্র করে দুই নারীর সঙ্গে ছবি তোলা হয় আজাদের। বিভিন্ন জায়গায় ওই ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে তার কাছে ৫০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মাহবুব ও তার সহযোগীরা। আজাদের পরিবারের কাছে ফোন করে টাকা চাওয়া হয়। আজাদের কাছ থেকে তার অফিসের ড্রয়ারের চাবি কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা। এক সহকর্মীকে ফোন দিয়ে ড্রয়ার থেকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বাধ্য করানো হয় এই ব্যাংক কর্মকর্তাকে। আজাদের চেকে সই নিয়ে কামরুল নামের এক অপহরণকারী যায় টাকা তুলতে। তাকে আটক করে ব্যাংকের কর্মচারীরা।
এদিকে, আজাদের পরিবার পাঁচ লাখ টাকা নিয়ে গাবতলী এসেছে বলে অপহরণকারীদের জানানো হয়। অপহরণকারী আজাদকে নিয়ে রাস্তায় বের হলে কৌশলে পালিয়ে যান এই ব্যাংক কর্মকর্তা।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজধানীর শাহবাগ থানায় বাদি হয়ে মামলা করেন আজাদ। মামলা তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৩০ এপ্রিল তিনজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা।