ঈদের ছুটিতে হিলি স্থলবন্দরে ছয় দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে একটানা ছয় দিন বন্ধ থাকবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সরকারি ছুটির দিন বাদে বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য-ওঠা নামা কার্যক্রম এবং হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে এই দুই দেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আগামী ২৯ জুন পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হবে। এই উপলক্ষে ২৭ জুন থেকে ২ জুলাই পর্যন্ত একটানা ছয়দিন হিলি স্থলবন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এ বিষয়ে বন্দর সংশ্লিষ্ট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস, আমদানি-রপ্তানিকারক, পানামা পোর্ট কর্তৃপক্ষ ও শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ভারতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। আগামী ৩ জুলাই থেকে পুনরায় এই বন্দর দিয়ে পুরোদমে সীমান্ত বাণিজ্য শুরু হবে।
বন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহব্যবস্থাপক এস এম হায়দার জানান, ২৭ জুন থেকে আগামী ২ জুলাই পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। বন্ধের বিষয়টি ব্যবসায়ীদের নিজস্ব সিদ্ধান্ত। তবে ঈদের সরকারি ছুটি ২৭ জুন থেকে ১ জুলাই পর্যন্ত পানামা পোর্টের অভ্যন্তরের কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। সরকারি ছুটি শেষ হলে ২ জুলাই থেকে পানামা পোর্টের কার্যক্রম চালু হবে।
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সরকারি কোনো ছুটি নেই। ফলে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে বৈধ পাসপোর্ট-ভিসায় যাত্রীরা সপ্তাহের সাত দিনই বাংলাদেশ ও ভারতে চলাচল করতে পারেন। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম স্বাভাবিক থাকে।
এদিকে হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন জানান, সরকারি ছুটি পর্যন্ত আমাদের অফিসিয়াল কাজকর্ম বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে ২ জুলাই থেকে পুনরায় অফিস শুরু হবে। ব্যবসায়ীরা চাইলে এদিন শুল্ককর পরিশোধ করে তাদের পণ্য খালাস করে নিতে পারবেন।