কোরবানির পশুর বর্জ্য যথাযথভাবে অপসারণে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের আহ্বান
কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য যথাযথভাবে পরিষ্কার করা এবং নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় এই আহ্বান জানিয়েছে তারা।
এ ছাড়া যত্রতত্র পশু জবাই না করতে ও কোরবানির পুরো কার্যক্রম চলাকালে যথাযথ ব্যক্তিগত সুরক্ষা নিশ্চিত করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে কোরবানি করা পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৭ জুন) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় উল্লেখ করা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পশু কোরবানির মাধ্যমে পালন করা হয় সুমহান ধর্মীয় অনুশাসন। কোরবানি করা পশুর রক্ত, হাড়, চামড়া, নাড়িভুঁড়ি, গোবর ইত্যাদি উচ্ছিষ্টাংশের মাধ্যমে যাতে পরিবেশ দূষিত হয় না হয় সেজন্য গর্তের মধ্যে পরিত্যক্ত অংশ রেখে মাটি চাপা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য অপসারণ বা কোরবানির গোশত বিতরণে পরিবেশসম্মত ব্যাগ বা পাত্র ব্যবহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অঙ্গ’ তাই সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করে জনগণ ধর্মীয় ও নৈতিক দায়িত্ব পালন করবে বলে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের প্রত্যাশা।
কোরবানির পশুর বর্জ্য পরিবেশসম্মতভাবে অপসারণ বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণযোগাযোগ অধিদপ্তর হাট-বাজার ও উন্মুক্ত এলাকায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং এবং প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করছে। জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ ও মোবাইলফোন অপারেটরদের মাধ্যমে খুদে বার্তা পাঠিয়ে জনগণকে এ বিষয়ে উদ্বুদ্ধ করা হবে।
ঈদের আগের জুমা ও ঈদের নামাজের খুতবায় এ বিষয়টি উল্লেখ করতে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সম্মানিত ইমামগণকে অনুরোধ করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়।