দিনাজপুরে ১০ গ্রামে ঈদ উদযাপন
সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুরের বিরামপুরে দুটি ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের মুসল্লি ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেছেন। দুই জামাতে পুরুষ মুসল্লির পাশাপাশি নারী মুসল্লিরাও নামাজ আদায় করেন। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
আজ বুধবার (২৮ জুন) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ি-মির্জাপুর মসজিদে ও একই সময়ে আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের ১৪০ মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। খয়ের বাড়ি জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদরাসা মসজিদে আল আমিন জামাতের ইমামতি করেন।
সরেজমিনে উপজেলার আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে গিয়ে দেখা যায়, সময় হওয়ার আগেই দূর-দূরান্তের গ্রামগুলো থেকে কেউ ভ্যানে আবার কেউ সাইকেল বা মোটরসাইকেলে একত্রিত হচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে বিরামপুর থানা পুলিশের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্ধারিত সময় সকাল সাড়ে আটটায় ওই এলাকার মাদ্রাসা মাঠে আল আমিনের ইমামতিতে নামাজ শুরু হয়।
সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করার বিষয়ে জানতে চাইলে খয়ের বাড়ি জামাতের ইমাম মো. দোলোয়ার হোসেন কাজি বলেন, ‘সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের সময়ের পার্থক্য মাত্র তিন ঘণ্টা। এই তিন ঘণ্টার ব্যবধানে দিনের পরিবর্তন হয় না। তাই এই নামাজ আদায় করা। ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে আমরা সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।’
বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুমন কুমার মহন্ত বলেন, ‘বিরামপুর উপজেলায় জোতবানি ও বিনাইল দুটি ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুটি জামায়াতে ১৪০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।’