পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মসহ পশুর হাটগুলোতে মোট ৯৪ লাখ ৪৩ হাজারের বেশি পশু বিক্রি হয়েছে। আর এ বছর মোট কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি।

আজ শুক্রবার (৩০ জুন) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, ‘৪৩ লাখ ৬১ হাজার গরু-মহিষ এবং ৫০ লাখ ৮১ হাজার ছাগল, ভেড়া ও অন্যান্য পশু বিক্রি হয়েছে।’ তবে,  বিক্রি হওয়া মোট গবাদি পশুর এ সংখ্যা দিয়ে কোরবানি হওয়া মোট পশুর সংখ্যা নিরূপণ করা যাবে না বলেও জানান তিনি। 

মন্ত্রণালয়ের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘বিক্রি হওয়া পশুর সঙ্গে গৃহপালিত যেসব গবাদি পশু কোরবানি হয়েছে, সেগুলো যুক্ত করে এ বছর মোট কোরবানি হওয়া গবাদি পশুর সংখ্যা নির্ধারণ হবে। মোট কোরবানি হওয়া পশুর সংখ্যা নিয়ে কাজ করছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।’

গত ১৪ জুন সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘এ বছর কোরবানির পশুর সম্ভাব্য চাহিদা এক কোটি তিন লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি। কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার। সেই হিসাবে এবার ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত।’

মন্ত্রী বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে এ বছর চার লাখ ১১ হাজার ৯৪৪টি পশু বেশি। এ বছর কোরবানিযোগ্য গবাদি পশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু-মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং দুই হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদি পশু।’