১৮ ও ১৯ জুলাই রাজধানীতে পদযাত্রা করবে এলডিপি
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেছেন, ‘সরকারের লুটপাট, দুর্নীতির কারণে দেশের অর্থনীতি বেহাল অবস্থায় পড়েছে। দেশের কোনো মানুষ ভালো নেই। শ্রমজীবী মানুষ আজ পরিবার-পরিজন নিয়ে দিশেহারা। এই সরকারের পতনই এ অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দিতে পারে। তাই দল-মত জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী সব রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক দফা দাবি আদায়ে রাজপথে নামতে হবে।’
আজ বুধবার (১২ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসি সংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৮ জুলাই ১০টায় গাবতলি হতে যাত্রাবাড়ি পর্যন্ত পদযাত্রা এবং ১৯ তারিখ একই সময়ে আবদুল্লাহপুর হতে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা করবে এলডিপি।
রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর কারণে দেশের ৮৫ শতাংশ মানুষ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে। জিনিসপত্রের দামের ঊর্ধ্বমুখীতে এখন অনেকের জীবন-সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ নেতাদের সীমাহীন দুর্নীতির কারণে দেশ আজ ধ্বংসের পথে। এ থেকে উত্তরণে এ সরকারকে হটানোর বিকল্প নেই। এই সরকার সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে জেল খাটিয়েছে। এখন গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। তারেক রহমানকে বিদেশে নির্বাসিত করে রেখেছে। বিরোধী দলের এমন কোনো নেতা নেই যার বিরুদ্ধে একের অধিক মামলা নেই।’
ড. রেদোয়ান আহমেদ বলেন, ‘আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধ করে এ দেশটাকে স্বাধীন করেছি। কিন্তু এখন দেশে আমার কথা বলার কোনো অধিকার নেই, নিরাপত্তা নেই। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোনো সভা সমাবেশ করতে পারি না। যেখানেই সভা করতে যাই সেখানেই হামলা করা হয়। আমরা আর কতো মার খাব। এখন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর। এখন আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। জনগণের স্বার্থ রক্ষা করতে হলে এই সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করতে হবে। জনগণের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই সরকারের পতন করা হবে। আওয়ামী লীগের কাজই হচ্ছে গণতন্ত্রকে হত্যা করা। অথচ সারা দেশের মানুষ গণতন্ত্র চান। নিজের ভোট নিজে দিতে চান। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। আমরা নির্বাচন চাই এবং সেই নির্বাচন চাই সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, শেখ হাসিনার অধীনে নয়।’