কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে ভাইবোন নিহত
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে হামলায় সহোদর ভাইবোন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তাঁদের মা, ভাইবোনসহ আরও চারজন। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে জেলার হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব কুড়িমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ভাইবোন হচ্ছেন এ গ্রামের সামসুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ও মেয়ে নাদিরা আক্তার (২২)। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাড়ির সীমানা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে শামসুল ইসলাম ও তাঁর ছোট ভাই আব্দুল কাদিরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বিরোধপূর্ণ জমিতে গাছের চারা লাগানোকে কেন্দ্র করে গতকাল বুধবার শামসুদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ভাই কাদির ও ভাতিজাদের কথা কাটাকাটি হয়। একটি গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে আব্দুল কাদির ও তাঁর তিন ছেলে আজ সকালে আরও লোকজন নিয়ে শামসুল ইসলামের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় হামলাকারীরা মাহমুদুল হাসান আলমগীরকে ধরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন। এ সময় অধিক রক্তক্ষরণে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
আলমগীরকে বাঁচাতে তাঁর বোন নাদিরা আক্তার এগিয়ে এলে তাঁর ওপরও হামলা হয়। তিনিও গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া হামলায় শামসুল ইসলাম, তাঁর স্ত্রী সাঈদা আক্তার আছমাসহ আরও কয়েকজন আহত হন। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাদিরা আক্তারকে প্রথমে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। শামসুল ইসলামের আহত স্ত্রী সাঈদা আক্তার আছমা ও আরেক মেয়ে সালমা আক্তার বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
শামসুল ইসলাম বলেন, ‘দা, লাঠি, বল্লম নিয়ে আব্দুল কাদিরের নেতৃত্বে তার তিনপুত্র এসে ঘর থেকে ডেকে বের করে আমার ছেলেমেয়েকে হত্যা এবং আমাকে, আমার স্ত্রীসহ আরেক মেয়েকে আহত করেছে।’
ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ ও অন্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
হোসেনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জমান টিটু বলেন, ‘এ ঘটনায় এখনও কেউ মামলা করেনি। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এ পর্যন্ত দুজনকে আটক করা হয়েছে। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িত অন্যদের আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।’