দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় : ইইউকে লেবার পার্টি
গণতন্ত্র, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের কাছে স্মারকলিপি প্রদান শেষে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, ‘দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার বিকল্প নেই।’
আজ রোববার (১৬ জুলাই) বেলা ৩টায় রাজধানীর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কার্যালয়ে লেবার পার্টির পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদলের স্মারকলিপি প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এ কথা বলেন ইরান।
স্মারকলিপিতে লেবার পার্টি উল্লেখ করে, বাংলাদেশে স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় নাই। তাই ১৯৯৬ সালে সকল দলের ঐক্যমতে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৯ সালে তিনটি নির্বাচন সুষ্ঠু হলেও ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে। যার ফলে বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে পর পর তিনবার একদলীয় কায়দায় অগ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের রায়কে উপেক্ষা করে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে আছে।
মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘বর্তমান সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিরোধী দল নিমূর্লের হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে। বিগত ১৫ বছর ধরে অসংখ্য গুম—খুন, ৪০ লক্ষাধিক মিথ্যা মামলা দিয়ে বিরোধী মত দমন অব্যাহত রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করতে পারছে না। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে বাকস্বাধীনতা হরণ করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে গণতন্ত্র নির্মূল, মানবাধিকার লংঘন, গুম—খুনসহ বিচার বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
প্রতিনিধি দলে ছিলেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, হিন্দুরত্ন রামকৃষ্ণ সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক খোন্দকার মিরাজুল ইসলাম ও মেজবাউল ইসলাম সজিব।