তারেক-জোবায়দার বিরুদ্ধে আরও ছয়জনের সাক্ষ্য
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলায় আরও ছয়জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ রোববার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে তারা এ সাক্ষ্য দেন। এ নিয়ে মামলাটিতে ৫৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
এ দিন সাক্ষ্য দেওয়া ব্যক্তিরা হলেন–নেভিগেশন কোম্পানি লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ মো. শাহাদাত হোসেন, ইস্টার্ন হাউজিংয়ের কর্মকর্তা শামসুজ্জোহা ফরহাদ, রহমান গ্রুপের নির্বাহী অফিসার মো. রেদওয়ানুল হক, এফ.সি.এ সিরাজ খান বসাক অ্যান্ড কোংয়ের কর্মকর্তা রমেন্দ্রনাথ বসাক, মো. আবু সুফিয়ান ও পরিমেলন্দ্র ভট্টাচার্য। সাক্ষ্য শেষে আদালত পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২০ জুলাই দিন ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। ২০০৮ সালে দুই জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। তারেকের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১ নভেম্বর তারেক রহমান ও জোবায়দার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন।
এদিকে, মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। তবে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
উচ্চ আদালতের এ খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা। এরপর প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ টু আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন।