সুনামগঞ্জে শিশুদের পুরস্কার প্রতিযোগিতায় চরম অব্যবস্থাপনা, ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা
সুনামগঞ্জে চলছে জেলাব্যাপী জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতা। শিশু একাডেমির আয়োজনে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলার দূর-দুরান্ত থেকে ভোরে রওনা দিয়ে শিশুদের নিয়ে আসেন অভিভাবকরা। সকাল ১০টায় প্রতিযোগিতা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সঠিক সময়ে শুরু হয়নি। দিনব্যাপী প্রতিযোগিতা চলার পর নানান অব্যবস্থাপনার কারণে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে প্রতিযোগিতা।
রোববার রাত (১৬ জুলাই) সাড়ে ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির সংগ্রহশালায় এসে দেখা যায়, প্রতিযোগিতা অব্যাহত আছে। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা এত রাত অবধি প্রতিযোগিতা চলার কারণ জানতে চাইলে উল্টো খারাপ আচরণ করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ। গণমাধ্যমকর্মীদের পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন অভিভাবকরা। এসময় চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করে অভিভাবকেরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শাল্লার আশিস রায় বলেন, ৫টায় ঘুম থেকে উঠেছি, ৬টায় রওনা দিয়ে ৯টায় এসেছি সুনামগঞ্জ। এখন রাত বাজে সাড়ে ১০টা তাও শেষ হয়নি। কখন শেষ হবে আর কখন যাব কিছুই জানি না। কেউ একজন এসে কিছু জিজ্ঞেস করে না, খোঁজও নেয় না। এখন বাচ্চাকে নিয়ে শাল্লায় যাব কি করে বা কোথায় থাকব কিছুই বলতে পারছি না।
সকাল সাড়ে ৯টায় ছাতক থেকে সংগীত বিভাগের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে ছেলে স্পর্শ প্রতীক দাশকে নিয়ে আসেন প্রণব দাশ। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সকাল থেকে এক জায়গায় আছি। প্রতিযোগিতা শেষ হচ্ছে না। বাচ্চারা অনেক আগেই ক্লান্ত হয়ে গেছে। বাচ্চাদের সাথে আমরাও ধৈর্যহারা হয়ে গেছি। এক কথায় বলতে গেলে চরম অব্যবস্থাপনা। একটা জাতীয় প্রতিযোগিতা এমনভাবে চলতে পারে না৷
দিরাইয়ের রিপা রায় বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছি। সুনামগঞ্জ পেরিয়ে সিলেট পর্যন্ত গিয়েছি। রাতে কোনো প্রতিযোগিতা দেখিনি। আমরা এখন বাচ্চাদের নিয়ে কীভাবে যাব। আর কোনোদিন সুনামগঞ্জ আসব না।
নির্মল বণিক বলেন, সকাল থেকে বাচ্চাকে নিয়ে এসেছি। কি খাবো, কোথায় যাব বাচ্চাকে নিয়ে, কিচ্ছু বুঝছি না। প্রতিযোগিতায় আসছি নাকি কোথায় কিছুই জানি না। এরকম চলতে পারে না।
এ বিষয়ে জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা বাদল চন্দ্র বর্মণ বলেন, অভিভাবক-বাচ্চাদের অনেক কষ্ট হচ্ছে ভোগান্তিতে পড়েছেন, এটা স্বীকার করছি। দুই বছরের ইভেন্ট একসাথে হওয়ায় এমনটা হয়ছে।