ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যু : জামিন পেলেন আরও এক চিকিৎক
রাজধানীর গ্রিন রোডে অবস্থিত সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় আরও এক চিকিৎসক জামিন পেয়েছেন।
আজ বুধবার (১৯ জুলাই) জামিন পাওয়া চিকিৎসকের নাম ডা. বেগম মাকসুদা ফরিদা আক্তার মিলি। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন আসামির জামিন মঞ্জুর করেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ডা. মিলি আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৮ জুন সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় নবজাতক ও মায়ের মৃত্যুর ঘটনায় করা মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন ডা. মিলি। এরপর ২৫ জুন হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চে শুনানি শেষে আদেশের জন্য ৫ জুলাই দিন ধার্য করেন। গত ৫ জুলাই হাইকোর্টের বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি বিশ্বজিত দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে জামিন না দিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
সেন্ট্রাল হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. সংযুক্তা সাহার (গাইনি) অধীনে গত ৯ জুন ভর্তি হয়েছিলেন মাহাবুবা রহমান আঁখি। কিন্তু, সেদিন ডা. সংযুক্তা হাসপাতালেই ছিলেন না। পরে, তার দুই সহযোগী চিকিৎসক আঁখির প্রসব করানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, জটিলতা দেখা দেওয়ায় নবজাতককে এনআইসিইউতে রাখা হয়। একইসঙ্গে আঁখির অবস্থার অবনতি হলে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত ১০ জুন বিকেলে আঁখির নবজাতক সন্তান মারা যায়। এ ঘটনায় আঁখির স্বামী ইয়াকুব আলী ধানমণ্ডি থানায় একটি মামলা করেন।
মামলায় ডা. শাহজাদী মুস্তার্শিদা সুলতানা, ডা. মুনা সাহা, ডা. মিলি, সহকারী জমির, এহসান ও হাসপাতালের ম্যানেজার পারভেজকে আসামি করা হয়। এ ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আরও কয়েকজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলা পর গত ১৫ জুন রাতে ডা. শাহজাদী ও ডা. মুনা সাহাকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আর ১৮ জুন দুপুর ১টা ৪৩ মিনিটে ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মাহবুবা রহমান আঁখিও।