তরুণ প্রজন্মই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল শক্তি : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের তরুণ প্রজন্মই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের মূল শক্তি। আজ শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে প্রথমবারের মতো দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের তরুণ প্রজন্মই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিটি ক্ষেত্রে সবচেয়ে দক্ষ জনশক্তি।’
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট দেশ হবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম মেধাবী এবং তাদের নতুন উদ্ভাবন বাস্তবায়নের ক্ষমতা রয়েছে।’
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা প্রতিটি উপজেলায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করছেন এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইন্টারনেট অব থিংস, ব্লক চেইন, রোবোটিক্স, বিগ ডাটা, মেডিকেল স্ক্রাইব, সাইবার নিরাপত্তার মতো উন্নত প্রযুক্তিতে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করতে হবে।’
সরকার প্রধান বলেন, তাঁর সরকারের লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে পাঁচটি ইউনিকর্ন (কমপক্ষে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের একটি স্টার্টআপ কোম্পানিকে ইউনিকর্ন বলা হয়) এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০টি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ তৈরি করতে সহায়তা করা, যেখানে প্রতিটি ইউনিকর্ন স্টার্টআপ লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি দেশি এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্টার্টআপগুলোতে আরও বেশি বিনিয়োগ করার আহ্বান জানাই।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আপনার বিনিয়োগ রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় নীতিমালা তৈরি করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার বিভিন্ন মহলের সমালোচনা, অপমানজনক ও হাস্যকর মন্তব্য সহ্য করে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত করেছে। তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছি। কিন্তু, শুরুতে কড়া সমালোচনা, অপমান ও হাস্যকর মন্তব্যের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এমনকি, যখনই কোনো কারিগরি সমস্যা বা ত্রুটি ছিল, তখনই একটি মহল আমাদের উপহাস করে বলেছিল—এটি ডিজিটাল বাংলাদেশের ফল।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ২০০৮ সালে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করার সময় ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত করে। তিনি বলেন, ‘সে সময় আমাদের অনেক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এখন, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমরা দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি।’
দুই দিনব্যাপী বাংলাদেশ স্টার্টআপ সামিট-২০২৩-এর উদ্দেশ্য হচ্ছে বিভিন্ন দেশের স্টার্টআপ, উদ্যোক্তা, পুঁজিপতি, অ্যাঞ্জেল ইনভেস্টর, নিয়ন্ত্রক, থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এবং বিশেষজ্ঞদের একত্রিত করা। বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ফ্ল্যাগশিপ ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেড এর আয়োজক।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে বক্তব্য দেন আইসিটি বিভাগের সচিব শামসুল আরেফিন ও স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ।