ইউপি সদস্য হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পিপি বলেন, রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল নামে দণ্ডাপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক। তাঁরা আদালতে উপস্থিত হননি।
দণ্ডাপ্রাপ্তরা হলেন জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, ফয়সাল খান জয়, মো. মিলন প্রকাশ সিএনজি মিলন, আল-আমিন, বরকত, নিশান, রুবেল, আলাউদ্দিন সুমন প্রকাশ চুইল্লা সুমন ও লোকমান।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, কাউসার, চরচামিতা সুমন, রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে মিরন আড্ডারত ছিলেন। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করেন। এতে মিরন মারা যান। ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতপরিচয় সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা করেন। ২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। এরমধ্যে বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হওয়ায় খোরশেদ আলম, শাহাদাত প্রকাশ কালা শাহাদাত ও ইলিয়াস কোবরাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষীদের সাক্ষগ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
রায়ের বিষয়ে বাদী তাহমিনা আক্তার বলেন, ‘আমি এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। একজন আসামিকেও ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়নি। আমি উচ্চ আদালতে আসামিদের ফাঁসির দাবিতে আপিল করব।’