ফরিদপুরে যুবক হত্যার দায়ে সাত জনের যাবজ্জীবন
ফরিদপুরে মো. আসাদ (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার দায়ে সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় দেওয়ার সময় সাজাপ্রাপ্ত সাত আসামির মধ্যে পাঁচ জন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর দুজন পলাতক ছিলেন।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মো. বাবুল মিয়া (২২), মো. সাদ্দাম শেখ (২৭), মো. সুরুজ সরদার (২৬), মো. নিশান (২২), মো. রনি (২২), চাঁন মিয়া সরদার (২৮) ও মো. রানা (২০)। এদের মধ্যে চাঁন মিয়া সরদার ও মো. রানা পলাতক রয়েছেন।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ১০ বছর পর সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) এ রায় দিলেন আদালত।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ ফরিদপুর শহরের পশ্চিম খাবাসপুর এলাকার পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পাশের একটি ছাত্রাবাসে মাদকের ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসাদ নামে এক যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদ মারা যান। এ ঘটনায় নিহত আসাদের ভাই আশরাফুল আলম বাদী হয়ে ১১ মার্চ ফরিদপুরের কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরে ঘটনাটি দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অখিল কুমার বিশ্বাস ২০১৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের পিপি মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এতে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমবে।