বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, আঘাত করলে পাল্টা আঘাত-এটা সারা দেশের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলেই আমাদের বাঁচা সম্ভব হবে। সঠিকভাবে যদি ধাক্কা দেই, এই সরকার টিকে থাকবে না। আজ মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছসহ গ্রেপ্তার করা রাজবন্দির মুক্তি’র দাবিতে অনুষ্ঠিত এক সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আইয়ুব-ইয়াহিয়া অনেক শক্তিশালী ছিল। কিন্তু আজকে এই সরকার তত শক্তিশালী না। আর গত ৫১ বছরে বাংলাদেশে এতো দুর্বল সরকার আর কখনও আসেনি। কেনো দূর্বল। কারণ জনগণের নির্বাচিত নয়। তাই মনোবল শক্ত করে আমরা, এমন একটি অনৈতিক ও দুর্বল সরকারকে সঠিকভাবে যদি ধাক্কা দেই, এই সরকার টিকে থাকবে না। এটা আমার আত্মবিশ্বাস।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজকে আমাদের বড় বড় জনসভা হয়, আমাদের অনেক নেতাকর্মী। সুতরাং আমরা যদি শুধু স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকি, নেতাদের প্রশংসা সুলভ বক্তব্যে দিয়ে নেতৃত্বকে আকৃষ্ট করি, নিজের পদ বা অবস্থানকে শক্ত করার চেষ্টা করি, করতে পারব। কিন্তু, পরবর্তীতে আমরা পরাধীন হয়ে থাকব, আমরা মুক্তি পাব না। এই সরকারের পতন ঘটাতে পারব না। সুতরাং, এখন যা কিছু করেন এবং করতে চান তা মুখে নয়, অন্তর থেকে ও সাহস নিয়ে আজকে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আঘাত করলে পাল্টা আঘাত। এটা সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। সব জায়গায়। এটা যদি আমরা করতে পারি তাহলে আমাদের বাঁচা সম্ভব। ‘

সংগঠনের সভাপতি আইনুল হক রেজা শাহের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার আলম খানের পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, স্থানীয় সরকারবিষয়ক সহসম্পাদক শাম্মী আক্তার, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামছুল ইসলাম, ঢাকার সিলেট বিভাগ জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, এ কে এম রিপন তালুকদার প্রমুখ।