বরিশাল সিটি করপোরেশনের নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া কর্মকর্তার বেতন-ভাতা বন্ধ করে অপর একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়ায় মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপু‌রে বরিশালের জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে মেয়রসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে ওই নালিশি মামলা করা হয়।

জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ মো. হাসিবুল হাসান মামলা গ্রহণ করে আদেশের জন্য রেখেছেন বলে জানিয়েছেন বেঞ্চ সহকারী মো. বায়জিদ।

নালিশী মামলার বাদী হলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ার পদের চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তা শেখ মো. সোয়েব কবির। তিনি নগরীর ব্যাপটিস্ট মিশন রোডের বাসিন্দা শেখ মো. শাহাজাহান কবিরের ছেলে। বিবাদীরা হলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব, বাজেট কাম হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ও নেটওয়ার্কিং ইঞ্জিনিয়ারিং পদে বর্তমানে কর্মরত ওবায়দুর রহমান। বাদীর আইনজীবী আজাদ রহমান নালিশির বরাতে জানান, ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর নেটওয়ার্কিং পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করে বাদী শেখ মো. সোয়েব কবির ২০২১ সালের ৯ মে তিন বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান। ২০২৩ সালের ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত নিয়মিত বেতন-ভাতা দেওয়া হয়। এরপর অজ্ঞাত কারণে বেতন-ভাতা বন্ধ করে দিয়েছেন। নালিশি মামলায় বাদী অভিযোগ করেছেন, তাঁকে চাকুরিচ্যুত না করে সরকারি বিধিবিধান না মেনে একই পদে আরেকজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিটি করপোরেশনে বিবাদীদের কার্যালয়ে গিয়ে বেতন-ভাতা দেওয়ার ও অবৈধভাবে নিয়োগ বাতিলের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাঁরা বেতন-ভাতা ও নিয়োগ বাতিল করা হবে না বলে জানিয়ে দেন। তাই বেতন-ভাতা দিতে ও অবৈধ নিয়োগ বাতিলের প্রতিকার চাওয়া হয়েছে নালিশি মামলায়।