সন্তানের সামনে বাবা হত্যা : সম্পূরক অভিযোগপত্রে নারাজি দেবেন বাদী
রাজধানী ঢাকার পল্লবীতে সন্তানের সামনে প্রকাশ্যে কুপিয়ে তার বাবা শাহিন উদ্দিনকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র এলেও ফের নারাজি দেবেন মামলার বাদী আকলিমা বেগম। এ জন্য বিচারক আগামী ১৩ নভেম্বর তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম এই তারিখ নির্ধারণ করেন। এ আদালতে মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার বাদী আকলিমা বেগম ফের নারাজি দেবেন জানিয়ে সময়ের আবেদন করেন। তার সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে বিচারক নতুন দিন নির্ধারণ করেছেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) সেলিম রেজা এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, ২০২২ সালের ১২ মে আদালত শাহিন উদ্দিনের মায়ের নারাজির আবেদন গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে পিবিআইকে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এ মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক এমপি ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক সৈয়দ ইফতেখার হোসেন। অভিযোগপত্রে অন্য আসামিরা হলেন—সুমন ব্যাপারী, টিটু, কিবরিয়া, মুরাদ হোসেন, আবু তাহের, ইব্রাহিম সুমন, রকি তালুকদার, শফিকুল ইসলাম, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ, তারিকুল ইসলাম, নুর মোহাম্মদ, হাসান ও ইকবাল হোসেন।
সুমন ও শফিকুল ছাড়া বাকি ১৩ আসামি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৯ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২১ সালের ১৬ মে শাহিন উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের পর ওই রাতেই নিহতের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে পল্লবী থানায় সাবেক এমপি আউয়ালসহ ২০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। এরপরে গত ১৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন আদালতের পল্লবী থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখায়(জিআরও) এ সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকর্মকর্তা পিবিআই পুলিশের পরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন।
অন্য আসামিরা হলেন— আবু তাহের, সুমন বেপারী, মুরাদ হোসেন, টিটি শেখ ওরফে টিটু, গোলাম কিবরিয়া খান, ইব্রাহিম সুমন ওরফে বাওয়া সুমন, শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক, রকি তালুকদার ওরফে রকি, নুর মোহাম্মদ হাসান, ইকবাল হোসেন ওরফে ইকবাল নুর, শরিফ, তৌকিরুল ইসলাম ওরফে ইমন, তুহিন মিয়া, হারুন অর রশীদ ওরফে হারুন ও প্রতীক আহম্মেদ সজীব। আসামিদের মধ্যে নয়জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।