রশি টেনে মোটরসাইকেল থামিয়ে যুবলীগনেতাকে হত্যা, আটক তিন
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুর্বৃত্তদের হামলায় জাহিদুল ইসলাম (৩৮) নামের এক যুবলীগনেতার মৃত্যু হয়েছে। রোববার (১২ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে তিনটার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
জাহিদুল ইসলাম উপজেলার সোনারায় ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও পশ্চিম বৈদ্যনাথ গ্রামের আবুল হোসেন মেম্বারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জাহিদুল ইসলাম ও কবির মিয়া মোটরসাইকেলযোগে বামনডাঙ্গা থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন। ফেরার পথে উপজেলার সুন্দরগঞ্জ-বামনডাঙ্গা সড়কের শাখা মারা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পৌঁছালে ৭-৮ জন হঠাৎ রশি টেনে মোটরসাইকেল গতিরোধ করে হামলা চালায়। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে জাহিদুলের হাত-পায়ের রগ কেটে দেওয়াসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করে। লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয় তার সঙ্গে থাকা কবিরকে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় জাহিদুল ও কবিরকে উদ্ধার করে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। জাহিদুল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ভর্তির পর প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় তার মৃত্যু হয়।
উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান লিটু বলেন, সোনারায় ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসীদের পরিকল্পিত হামলায় আহত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় জাহিদুল ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তির পর পরই প্রচুর রক্তক্ষণে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।