সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বহাল
মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত জারি করা রুল আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টকে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি বোরহান উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর) এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী। তাকে সহযোগিতা করেন ব্যারিস্টার বিভূতি তরফদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
বিভূতি তরফদার বলেন, সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর স্থিতাবস্থা বহাল রাখায় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পদোন্নতির কার্যক্রম যে অবস্থায় আছে সে অবস্থাতেই থাকবে।
গত ১৫ অক্টোবর মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমের ওপর ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থিতাবস্থা জারি করেন চেম্বার আদালত। একইদিন সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ চেয়ে করা আবেদন খারিজ করে দেন বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে চেম্বার আদালতে যান আবেদনকারীরা।
আইনজীবীরা জানান, মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি করা নতুন নীতিমালা অনুযায়ী সম্প্রতি পদোন্নতি কার্যক্রম শুরু করে সোনালী ব্যাংক। এই পদোন্নতির প্রক্রিয়া স্থগিত চেয়ে গত ৮ অক্টোবর হাইকোর্টে সম্পূরক আবেদন করেন সোনালী ব্যাংকের ফার্মগেট আওলাদ হোসেন মার্কেট ব্রাঞ্চের প্রিন্সিপাল অফিসার মোহাম্মদ আক্কাস আলীসহ ৭৯ কর্মকর্তা।
গত ১৮ এপ্রিল মেধা ও যোগ্যতার চেয়ে জ্যেষ্ঠতাকে প্রাধান্য দিয়ে সোনালী ব্যাংকের পদোন্নতি নীতিমালা ২০২২ কেন অবৈধ ও বাতিল হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এ রুল জারি করেন বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা। অর্থসচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়।