বিচারকের ছেলে হত্যা, পাঁচদিনের রিমান্ডে লিমন
রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে তাওশিফ রহমান সুমনকে (১৮) ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার একমাত্র আসামি লিমন মিয়ার (৩৫) পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শনিবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক মো. মামুনুর রশিদ এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে আদালত পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
গাজিউর রহমান আরও জানান, আসামি লিমন মিয়া হামলার সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে হাসপাতাল ত্যাগের অনুমতি দেন। পরে তাকে আদালতে হাজির করা হয় এবং দুপুর ২টায় আদালতে তোলা হয়। এরপর রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ায় তাকে রাজপাড়া থানায় নেওয়া হয়েছে, সেখানে তদন্তকারীরা হত্যাকাণ্ড ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করবেন।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর ডাবতলা এলাকায় মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আব্দুর রহমানের ভাড়া বাসায় ঢুকে তার ছেলে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাওসিফ রহমান সুমনকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে শুক্রবার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের মর্গে তার মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিক ময়নাতদন্তে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। চিকিৎসকরা বলেন, ধারালো ও চোখা অস্ত্রের আঘাতে শরীরের তিনটি স্থানে রক্তনালি ছিঁড়ে যাওয়ায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ঘটে। এতে বিচারকের ছেলের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : দুপুরে গ্রেপ্তার বিকেলে জামিন হিরো আলমের
এদিকে, একই ঘটনায় বিচারকের স্ত্রী তাসমিন নাহার লুসীও (৪৪) গুরুতর আহত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। হামলার ঘটনায় জড়িত লিমন মিয়াকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। ঘটনার সময় ধস্তাধস্তিতে আহত হওয়ায় তিনিও চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার তাকে একমাত্র আসামি করে নিজে বাদী হয়ে রাজপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন বিচারক মোহাম্মদ আব্দুর রহমান। এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, হত্যাকাণ্ডটি পূর্বপরিকল্পিত।

আবু সাঈদ রনি, রাজশাহী (সদর-গোদাগাড়ী-পবা)