ব্যবসায়ী হত্যায় এক নারীর যাবজ্জীবন, চারজনের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লা বরুড়ায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে খুন হন ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহীদ উল্লাহ। এ ঘটনায় করা মামলায় চারজনকে মত্যুদণ্ড ও একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই মামলায় খালাস পেয়েছেন সাতজন।
কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রোজিনা খান আজ সোমবার (২৭ নভম্বর) দুপুরে এ রায় দেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার পরানপুর গ্রামের ইউছুফ, বনি আমীন, ইউছুফের ভাতিজা সোলায়মান, ইউছুফের শ্যালক আবদুল হক। আর যাবজ্জীবনের আসামি হলেন—ইউসুফের বড় বোন রজ্জবী বিবি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে ১৯৯৮ সালের ২১ মে আসামিদের সঙ্গে ফার্নিচার ব্যবসায়ী শহীদ উল্লাহর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ ঘটনার জের ধরে ওই রাতে সাড়ে ৮টার দিকে আসামিরা ওই ব্যবসায়ীকে পরানপুর বাজারের পশ্চিম পাশে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে শহীদ উল্লাহ গেলে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মত্যু হয়।
পরে নিহতের ছোটভাই ও বরুড়া বিজরা মাদরাসার প্রিন্সিপাল মো. আমান উল্লা বাদী হয়ে ১৯৯৮ সালের ২২ মে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় ইউসুফসহ ১৫ জনকে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৯৯৯ সালের ৮ এপ্রিল আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এ ছাড়া ২০০৪ সালের ৩০ অক্টোবর আরেকটি সম্পূরক অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আইনজীবী এপিপি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আশা করছি মহামান্য হাইকোর্ট এ রায় বহাল রাখবে। আর দ্রুত রায় বাস্তবায়ন করবেন।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী মমিন ফেরদৌস বলেন, ‘রায়ের কপি হাতে পেলে আসামিপক্ষ উচ্চ আদালতে আপিল করবে।’