রাজনৈতিক সহিংসতায় আহত লালনের মৃত্যু, প্রতিবাদে বিক্ষোভ
পিরোজপুরে রাজনৈতিক সহিংসতায় (নৌকার সমর্থকদের হামলায়) গুরুতর আহত লালন ফকির ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
লালন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিরোজপুর সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজমীর হোসেন মাঝি।
এ ঘটনায় রাতেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা। গত শনিবার রাতে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর কর্মিসভা থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন লালনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে জখম করে মৃত ভেবে ডোবার মধ্যে ফেলে রাখে। তিনি উপজেলার ডুমুরিতলা গ্রামের গ্রামের হান্নান ফকিরের ছেলে।
চেয়ারম্যান জানান, শনিবার রাত ৮টার দিকে সদর উপজেলার শারিকতলা ইউনিয়নের কুমিরমরা ফেরিঘাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে একই এলাকার রশিদ শেখের ছেলে বাবু শেখের নেতৃত্বে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল লালনকে ধাওয়া করে। এরপর সেখানে থেকে দৌড়ে পালানোর সময় হামলাকারীরা লালনকে আটক করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তাঁর হাত ও পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে অর্ধশত কোপের আঘাত রয়েছে। এরপর তাঁকে মৃত ভেবে পাশের একটি ডোবায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তী সময়ে লালনের বন্ধুরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাঁকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে গতকাল রোববার ঢাকায় নেওয়া হয়। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের দাবিতে রাতেই শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে স্বতন্ত্রপ্রার্থীর বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।
লালন পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালের সমর্থক। অন্যদিকে অভিযুক্ত হামলাকারী বাবু একই আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ ম রেজাউল করিমের সমর্থক।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে বিষয়টি হত্যা মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হবে।