স্বামীর লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে সন্তান জন্ম দিলেন স্ত্রী
সদ্য বিধবা। হাসপাতাল থেকে স্বামীর মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে ফিরছিলেন স্ত্রী রহিমা খাতুন। পথিমধ্যে স্বামী আলতাফ হোসেনের লাশের পাশে বেদনায় নীল রহিমা যখন বাকরুদ্ধ, তখন তার ওঠে প্রসব বেদনা। লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই স্বামীর লাশের পাশে তার কোলজুড়ে আসে কন্যা সন্তান। গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে আশাশুনি যাওয়ার পথে বুধহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আলতাফ সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর এলাকার শামছুর রহমানের ছোট ছেলে। পেশায় ইটভাটার শ্রমিক। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আলতাফ হোসেন গত দুই সপ্তাহ আগে ইটভাটাতে যায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে। সেখানে গিয়ে তিনি আকস্মিক অসুস্থ হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডাক্তার জানান তার ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়েছে। ক্রমাগত তার অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। গত মঙ্গলবার রাতে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালী বলেন, ‘ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলতাফের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে আলতাফ হোসেনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, পরিবারসহ স্বজনরা সবাই শোকাহত। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে আলতাফের পরিবারকে সহযোগিতা করা হবে। তা ছাড়া সব সুযোগ-সুবিধার আওতায় নেওয়া হবে তার পরিবারকে। রহিমা খাতুন ও নবজাতক বর্তমানে সুস্থ আছেন।