প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের চেম্বার আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহর আবেদন
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফেরত পেতে ফের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়। আবেদনে গতকাল চেম্বার আদালতের দেওয়া স্থগিতাদেশ বাতিল চাওয়া হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
সাদিক আব্দুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘হাইকোর্ট সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেন। কিন্তু চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আমরা চেম্বার আদালতের আদেশ বাতিল চেয়ে আবেদন করেছি। আজ শুনানি হওয়ার কথা। কিন্তু কার্যতালিকা শেষে থাকায় কাল হতে পারে।
এর আগে হাই কোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তা স্থগিত করে দেন।
বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন। অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নির্বাচন কমিশনে নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সাদিক। সেই আবেদনের শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ বরিশাল-৫ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে। হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সেই আবেদনেই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে প্রার্থিতা বাতিল করে আপিল বিভাগ।