নারায়ণগঞ্জে আ.লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৮, আটক ১০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনকে ঘিরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় ১০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার কাঞ্চন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কাঞ্চন পৌরসভার কালাদী সাহাজউদ্দিন আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থানীয় ওলামা লীগের নির্বাচনি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা চলাকালে কাঞ্চন পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুর রহমান লিটু সমর্থিত পৌর সেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমান খোকন তুচ্ছ বিষয় নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলির সমর্থক রাজিবের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এ ঘটনা নিয়ে বিরোধের মীমাংসার জন্য গোলাম রসুল কলি খোকনকে তার অফিসে যেতে বলেন। এ সময় সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান লিটু খোকনসহ কয়েকজনকে নিয়ে তার অফিসে যান। সেখানে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। হামলায় পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি আনিছুর রহমান খোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জমির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবকলীক কর্মী নিহাল, রাকিব, রাব্বিসহ উভয় পক্ষের কমপক্ষে আটজন আহত হয়। এর জের ধরে রাত পৌনে ৮টার দিকে উভয় পক্ষের লোকজন ফের দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে কাঞ্চন বাজারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় গোলাম রসুল কলির ছোট ভাই নুর হোসেনের খাবারের দোকান ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের আটজন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ কাঞ্চন বাজারে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত উভয় পক্ষের ১০ জনকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবির হোসেন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিত স্বাভাবিক রয়েছে।’