হাতীবান্ধায় একের পর এক নির্বাচনি সহিংসতা, ‘ঈগল’ অফিস ভাঙচুর
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় একের পর এক নির্বাচনি সহিংসতা হচ্ছে। উঠছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে আরও সহিংসতার শঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে এলাকাবাসী। যদিও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতেও নির্বাচনের এই আসনের এক স্বতন্ত্রপ্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সাধুর বাজার ও মিলন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ‘ঈগল’ প্রতীকে মাঠে সোচ্চার প্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের দাবি, নৌকার কর্মী-সমর্থকরা এর জন্য দায়ী। তিনি এক অভিযোগে বলেন, তারা ‘আমাকে নির্বাচনি মাঠ থেকে সড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এ ঘটনায় আহত আটজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। আহতরা হলেন—সাজ্জাদ হোসেন (২১), মনির হোসেন (২০), বাদল মিয়া (৩৮), রমজান আলী (৩২), আল আমিন (১৮), বিপ্লব হোসেন (১৯), অর্নব (২৪) ও মাছুম মিয়া (২৮)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) ঈগল প্রতীক নিয়ে মাঠে থাকা স্বতন্ত্রপ্রার্থী আতাউর রহমান প্রধানের ওপর হামলা, নির্বাচনি অফিস ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। তিনি সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা উপকমিটির সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রোববার রাতে ঈগল প্রতীকের সমর্থকরা সাধুর বাজারে মিছিল বের করলে বাজারে থাকা তাদের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করা হয়। একই রাতে মিলন বাজারে অপর একটি অফিসে হামলা চালিয়ে কর্মীদের মারপিট ও অফিস ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযোগের বিষয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোতাহার হোসেনের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টার পরও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। যদিও ওই হামলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে জানিয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে।’