দরিদ্রতা কমলেও আয় বৈষম্য বেড়েছে : বিবিএস
দেশের ২২ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আর শহরের তুলনায় গ্রামে এই হার বেশি। তবে গত পাঁচ বছরের ব্যবধানে দারিদ্র্যের হার ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মতো কমে দাঁড়িয়েছে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। একই সময়ে পরিবার প্রতি আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩২ হাজার টাকা। দরিদ্রতার হার কমলেও আয় বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে।
আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও পরিসংখ্যান ভবনে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ২০২২ সালের খানা আয়-ব্যয় জরিপ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএস এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যার ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আর শহরে এ হার ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। ৫ জনে একজন খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, একটি পরিবারের মাসে গড় আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার টাকা। আর গড় ব্যয় সাড়ে ৩১ হাজার টাকা। দারিদ্র্যতার হারও কমেছে। তবে আয় বৈষম্য আগের চেয়ে বেড়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ব্র্যাক চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান জরিপে করোনা মহামারির পর দারিদ্র্যসীমার নিচে যাওয়ার ঝুঁকিতে থাকা মধ্যবিত্তদের অন্তর্ভুক্ত করার তাগিদ দেন।
সংস্থাটির হিসেবে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৪ শতাংশ। বিভাগগুলোর মধ্যে বরিশালে দারিদ্র্যতার হার বেড়েছে।
জরিপের তথ্য বলছে, দেশের মানুষের খাদ্য গ্রহণেও বৈচিত্র্য এসেছে। ভাতের পরিমাণ কমে সবজি, মাছ ও ফলমূল খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে।