রমজানে আগাম পণ্য কেনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আসন্ন রমজান মাসে জনগণ যাতে সমস্যায় না পড়ে, সেজন্য সরকার আগাম নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। রমজান মাসে যা যা প্রয়োজন, তা আগে থেকেই কেনার ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।’
আজ সোমবার (১৫ জানুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ ও সহযোগী সংগঠনের যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
রমজানে দরিদ্রদের জন্য খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ টিসিবি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য কিনতে পারবে এবং খোলা বাজার বিক্রির (ওএমএস) চাল কিনতে পারবে। জনগণ যাতে পণ্য কিনতে গিয়ে সমস্যার সম্মুখীন না হয়, সেজন্য আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিশ্চিত করব। মুদ্রাস্ফীতি আরও নিয়ন্ত্রণে আনতে আমরা পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেব।’
শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য এখন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছে। হ্যাঁ, মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে, তবে আমরা এটি অনেকটা কমিয়ে এনেছি। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দাম বাড়ায়। তবে এটাও সত্য যে জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে। এছাড়া জনদুর্ভোগ লাঘবে সরকার খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়লাভ করে সরকার গঠন করেছে। আমরা জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছি। এই বিশ্বাসকে সম্মান করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের সমর্থন, বিশ্বাস ও আস্থা এই নির্বাচনে ব্যাপকভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। একজন সাধারণ গ্রামবাসী আওয়ামী লীগকে বিশ্বাস করে। অন্য কারো ওপর তাদের আস্থা ও বিশ্বাস নেই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং, আমাদের তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। দরিদ্র, কৃষক, দিনমজুর ও রিকশাচালকদের মতো সাধারণ মানুষের ভাগ্য কীভাবে পরিবর্তন করা যায় এবং জীবনযাত্রার উন্নতি করা যায়, তা আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে। চলমান উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে। সংশ্লিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নের ধারা আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে এবং ত্বরান্বিত করতে হবে।’