উন্নয়নের ধারায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে : সমাজকল্যাণমন্ত্রী
সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, উন্নয়নের মূলধারায় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে হবে। তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি প্রয়োজনে আরও নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আজ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ নানা কারণে সমাজে প্রান্তিক হিসেবে চিহ্নিত হন। আর্থিক কারণ ছাড়াও শারীরিক, মানসিক, সামাজিক, পারিবারিক ও ভৌগলিক নানা কারণে মানুষ প্রান্তিক জীবনযাপন করেন, তাঁদের সংখ্যা অনেক। তাঁদের জীবনমান উন্নয়নে চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি প্রয়োজনে আরও নতুন পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বৈষম্যহীন সমাজ ও কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার, তাঁর ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কাজ করছে। স্মার্ট বাংলাদেশের অন্যতম স্তম্ভ স্মার্ট নাগরিক গড়তে এবং একই সাথে সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করতে হবে সবাইকে।
মন্ত্রী বলেন, দেশের একটি বিশাল অংশ প্রবীণ জনগোষ্ঠী। তাঁদের যথাযথ যত্ন নেওয়ার দায়িত্ব সবার। প্রবীণরা যেন পরিবারের বোঝা না হয়, সেদিকে সবাইকে লক্ষ রাখতে হবে। সরকারের উদ্যোগে দেশে প্রথমবারের মতো পাইলট ভিত্তিতে প্রবীণ ডে কেয়ার সেন্টার খোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন। মন্ত্রী বেদে, চা শ্রমিক, হিজড়াসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য পর্যায়ক্রমে স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করতে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন।
এ সময় ডা. দীপু মনি বলেন, মাথা গোঁজার মতো একটি ঠাঁই থাকলে মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে যায়। চলমান ভাতা, প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার পাশাপাশি বসবাসের জন্য গৃহ নির্মাণ, শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় তৈরি করা হলে প্রান্তিক এসব জনগোষ্ঠীর ছেলে-মেয়েরা শিক্ষার আলো পেয়ে সমাজের মূলস্রোতে আসতে পারবে।
এর আগে মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করা হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. খায়রুল আলম সেখ।