নারায়ণগঞ্জে যুবলীগনেতাকে পিটিয়ে হত্যা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নোয়াগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সহসম্পাদক ও ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম ভুইয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের মাঝেরচর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই এলাকার অটোরিকশা স্ট্যান্ডের লাইনম্যান ও অটোরিকশাচালকদের বিরুদ্ধে নজরুল ইসলাম ভুইয়াকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ।
গণপিটুনিতে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার পর নজরুল ইসলামকে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। নিহত নজরুল ইসলাম নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চর নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত শফেদ আলী ভুইয়ার ছেলে।
নজরুল ইসলাম ভুইয়ার স্ত্রী আসমা আক্তার জানান, তাঁর স্বামী রূপগঞ্জের ভুলতা গাউছিয়া এলাকায় ব্যবসায়ের কাজে যাচ্ছিলেন। পথে জামপুর ইউনিয়নের মাঝের চর বাস স্ট্যান্ডে গাউছিয়া যাওয়ার জন্য অটোরিকশায় ওঠেন। দীর্ঘ সময় কোনো যাত্রী না ওঠায় তিনি অটোরিকশা থেকে নেমে বিকল্প পথে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। এ সময় অটোরিকশা থেকে নেমে যাওয়ায় অটোরিকশার লাইনম্যান জাকির হোসেন ও অটোচালকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক ও ধ্বস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে লাইনম্যান জাকির ও দাইয়ানের হাতে থাকা লাঠি দিয়ে পেটায়। এ সময় জাকির ও দাইয়ানের সঙ্গে স্ট্যান্ডের অন্য অটোচালকরাও তাকে কিল ঘুষি মরে। তাদের পিটুনিতে ঘটনাস্থলে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতা মোবারক হোসেন বলেন, নজরুল ইসলাম ধন্ধি বাজারে রড ও স্টিলের ব্যবসা করতেন। তিনি রাজনীতি করলেও নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন। তাঁর এমন মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত বিচারের দাবি জানান তিনি।
তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মুজিবুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীর মৃত্যুর বিষয়টি জানতে পেরে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের দাবি তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।