নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রসহ তিন যুবককে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে গতকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে কেরামবোর্ড খেলার সময় ওই তিন যুবকের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।

এ সময় তিন যুবক গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে প্রথমে খুলনায় পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহতরা হলেন কাঞ্চনপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তামিম শেখ  (২১), একই গ্রামের কামরুল শেখের ছেলে মুরাদ শেখ (২৫) ও  জামির হোসেন (৩২)।  

পুলিশ ও আহতদের স্বজন সূত্রে জানা যায়, তামিম, মুরাদ ও জামির হোসেন গতকাল রাতে কাঞ্চনপুর গ্রামের একটি ঘরে কেরামবোর্ড খেলছিলেন। এ সময় গ্রামের প্রতিপক্ষের ১০ থেকে ১৫ জন ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে কুপিয়ে ওই তিন যুবককে হত্যার চেষ্টা চালায়। প্রতিপক্ষের ধারালো অস্ত্রের কোপে তামিমের বাম পায়ের রগ কেটে যায় এবং চোখসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কোপ লেগে গুরুতর আহত হন তিনি। এ ছাড়া মুরাদের ডান হাতের রগ কেটে যায় এবং জামিরের মাথায় আঘাত করে গুরুতর জখম করা হয়।

আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়।

কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

ওসি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।