মিয়ানমারের ১০৩ সীমান্তরক্ষী আশ্রয় নিয়েছে বাংলাদেশে
মায়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান সংঘর্ষের জেরে এখন পর্যন্ত মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ১০৩ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। আজ সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে এই সংখ্যা ছিল ৯৫। বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম রাত ৭টা ৩৭ মিনিটে এ তথ্য জানান।
মো. শরীফুল ইসলাম জানান, বাংলাদেশে আসা মিয়ানমারের ১০৩ জন সীমান্তরক্ষীকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। পরে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এর আগে আজ সকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রবেশের সংখ্যা ছিল ৯৫। তার আগে গতকাল রোববার রাত পর্যন্ত দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৬৮ জন সদস্য অস্ত্রসহ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এরমধ্যে অনেকে আহত আছেন। তাদের বিজিপি সদস্যের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গেছে, বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তের মিয়ানমার অংশে বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে চলছে ব্যাপক গোলাগুলি। উত্তাল মিয়ানমারের প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশে। ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে মিয়ানমারের গুলি, মর্টারশেল এসে পড়ছে বাংলাদেশেও। সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশার কাঁচে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরদিন গতকাল রোববার সকালে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্তবর্তী এলাকায়। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ বের হচ্ছেন না। অনেকে নিরাপদ এলাকা খুঁজে ছাড়ছেন ঘর।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়েছেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তবর্তী পাঁচটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যানবাহন এবং জনচলাচল সীমিত করা হয়েছে। পরিস্থিতির ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে। সীমান্তে বিজিবি টহল এবং নিরাপত্তা চৌকিগুলোতে শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিজিবি সতর্কাবস্থায় রয়েছে।