কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায় : মুজিবুল হক চুন্নু
কম সংখ্যা দিয়েও পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায় বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। আজ রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দলের সংরক্ষিত নারী আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘যদি সংখ্যার দিকটা দেখেন, গত পার্লামেন্টে অপজিশন অনেকেই ছিল। কিন্তু দিনের পর দিন সংসদ বর্জন করেছে। মাসের পর মাস, বছরের পর বছর বর্জন করেছে। অপজিশন লিডার পাঁচ বছরে মাত্র ১০ দিন পার্লামেন্ট এসেছিলেন। তাই ওই রকম সংখ্যা দিয়ে লাভ কী? ১৩ জন যদি আমরা অ্যাক্টিভ (সক্রিয়) থাকি, জনগণের পক্ষে কথা বলি, সোচ্চারভাবে সাহসের সঙ্গে জনগণের মনের কথা বলতে পারি, সংখ্যাটা বড় নয়। কম সংখ্যা দিয়েও জনগণের পক্ষে কথা বলা যায়। পার্লামেন্টকে কাঁপানো যায়।’
মুজিবুল হক বলেন, ‘নিশ্চয় আপনারা ইতিহাস জানেন, বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা, তিনি যখন সংসদনেতা ছিলেন, তখন একজন সংসদ সদস্য বাবু সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সংসদ কাঁপিয়েছিলেন। আমরা বর্তমানে পার্লামেন্ট যারা আছি ১১ জন, তাদের মধ্যে সম্ভবত একজন বাদে অন্যরা কয়েকবার সংসদ সদস্য ছিলেন। পার্লামেন্টে কথা বলার মতো ক্যাপাসিটি আছে এবং আমরা আগে বলেছি। আশা করি, এ দেশের জনগণের কথা বলা, সরকারের দোষত্রুটিগুলো ধরিয়ে দেওয়া, সরকারের দুঃশাসন, দুর্নীতি উচ্চকণ্ঠে গত পার্লামেন্টে বলেছি, এই পার্লামেন্টে নিশ্চয়ই বলব। এটা নিয়ে আমাদের ওপর জাতি ভরসা রাখতে পারেন।’
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে মজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির ইতিহাস হলো নির্বাচন বর্জন নয়। কারণ, নির্বাচন ছাড়া পার্লামেন্ট রাজনীতিতে ক্ষমতা অদল-বদলের আর কোনো সুযোগ নেই। সেখানে বাংলাদেশে যদি নির্বাচন না হয়, তাহলে এখানে অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি কায়েম হওয়ার সুযোগ ছিল। আমি মনে করি, আমরা দেশের মানুষের জন্য গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অক্ষুণ্ন রাখার জন্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে সঠিক কাজ করেছি।’ আরেক প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে বাঁচিয়েছি।’
মজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘বর্তমান জাতীয় সংসদের আইন অনুযায়ী, ৫০ জন সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টি এবার দুটি আসন পায়। জাতীয় পার্টি পার্লামেন্টারি বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সালমা ইসলাম ও ঠাকুরগাঁও জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি নুরুন নাহার দুজন আমার দলের পরীক্ষিত ও নিবেদিত কর্মী। তাদের জন্য এবার দলের পক্ষ থেকে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি।’