দই বিক্রেতা জিয়াউল হকের মতো ত্যাগী মানুষ খোঁজার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
একুশে পদক জয়ী দই বিক্রেতা জিয়াউল হকের মতো ত্যাগী মানুষদের খুঁজে বের করে সম্মানিত করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘একুশে পদক-২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
এ বছর একুশে পদক পেয়েছেন ২১ জন। যাদের একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সীমান্তঘেঁষা ভোলাহাট উপজেলার মুসরিভূজা গ্রামের বাসিন্দা ৯১ বছর বয়সী জিয়াউল হক। দই বিক্রির টাকায় তিনি গড়ে তুলেছেন লাইব্রেরি ও একটি বিদ্যালয়।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ২১তম বারের মতো বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ‘একুশে পদক’ বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। মরণোত্তর পদক বিজয়ীদের পক্ষে তাঁদের স্বজনরা পদক গ্রহণ করেন।
এবার একুশে পদক বিজয়ী জিয়াউল হক স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দেওয়াসহ সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত অনুদান দিয়ে আসছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে জিয়াউল হকের সমাজ সেবামূলক কাজের প্রশংসা করেন এবং পাঠাগরের জন্য একটি ভবন নির্মাণ করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত স্কুলটি সরকারিকরণের ব্যবস্থা করা যায় কি না সে উদ্যোগও নেবেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউল হককে পুরস্কৃত করতে পেরে আমরা আনন্দিত এই জন্য যে, আমরা সারা বাংলাদেশে যদি খোঁজ করি এ রকম বহু গুনীজন পাব। হয়তো দারিদ্র্যের কারণে না হয় কোনো সামাজিক কারণে হয়তো নিজেদের মেধা বিকাশের সুযোগ পাননি। কিন্তু সমাজকে কিছু তারা দিয়েছেন, মানুষকে দিয়েছেন, সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। তারা মানুষের কল্যাণে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করেছেন। হয়তো যে অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন তা দিয়ে আরো ভালোভাবে বাঁচতে পারতেন, জীবনকে গড়ে তুলতে পারতেন। কিন্তু, নিজের উন্নতি বা ভোগ বিলাসের দিকে না তাকিয়ে তিনি জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে চেয়েছেন যারা লেখাপড়া করতে পারছে না তাদের জন্য।
প্রধানমন্ত্রী যারা সমাজের উচ্চস্তরে আছেন তাঁদের এই ধরনের ত্যাগী মানুষগুলোকে খুঁজে বের করারও অনুরোধ করেন।