কারাগারে নিহতদের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে বিএনপি : জয়নুল আবদিন
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, গত ২৮ অক্টোবরের পরে জেলখানায় আটকাবস্থায় বিএনপির ১৩ নেতা-কর্মী মৃত্যুর ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আশা করি আইন সুবিচার করবে।
খুলনার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলায় নিহতদের কবর জিয়ারত এবং তাঁদের স্বজনদের কাছে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসনের পক্ষ হতে বিভিন্ন সামগ্রী প্রদানকালে আজ শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জয়নুল আবদিন এসব কথা বলেন।
জয়নুল আবদিন বলেন, জনগণ আমাদের কর্মসূচিকে সমর্থন করেছে। আমরা পরাজিত হয়নি। আন্দোলনে আমরা জয়লাভ করেছি। কিন্তু রাষ্ট্রযন্ত্র প্রশাসনিক কারণে আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বার বার হোচট খাচ্ছি। আন্দোলন তখনই সফল হবে যখন স্বৈরাচার সরকারের পুলিশ নিরপেক্ষ থাকবে। এবার বিএনপি পুলিশ প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার জন্য কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেবে।
এই সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ হতে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহত নেতাকর্মীর স্বজন বটিয়াঘাটা উপজেলার আমীরপুর ইউনিয়নের বড় কড়িয়া গ্রামে কারানির্যাতিত যুবদল নেতা সোহেল ও নিহত নজরুল ইসলামের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। পরে বটিয়াঘাটার সাচিবুনিয়ায় নিহত যুবদলনেতা কামাল হোসেন মিজানের বৃদ্ধ বাবা মো. মোকলেছ শেখ ও নিহতের স্ত্রীর হাতে নগদ অর্থ ও উপহারসামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। যুবনেতা মিজান গত ২ জানুয়ারি পুলিশের গায়েবি মামলায় বাগেরহাট জেলা কারাগারে নিহত হন।
জুম্মার নামাজের পর পাইকগাছা উপজেলার লস্কর ইউনিয়নে লস্কর গ্রামে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে যুবদল নেতা সাইদুর রহমান শহীদের বাবা ইউনুচ আলী গাজীর কবর জিয়ারত করেন জয়নুল আবদিন ফারুক। যুবদলনেতা শহীদ কারাগারে থাকাবস্থায় স্ট্রোক করে মারা যান তার বাবা।
তারেক রহমানের পক্ষে উপহারসামগ্রী প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এসএম মনিরুল হাসান বাপ্পী, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ডা. গাজী আব্দুল মজিদ, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক খায়রুল ইসলাম জনি, চালনা পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোজাফফর হোসেন, বটিয়াঘাটা উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব খন্দকার ফারুক হোসেনসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা।