বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে : ডিএমপি
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যাদের দায় থাকবে তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মো. ফারুক হোসেন। আজ শনিবার (২ মার্চ) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন। খবর ডিএমপি নিউজের।
মো. ফারুক হোসেন বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন মারা গেছে। এর মধ্যে ৪৩ জনের লাশ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি তিনজনের পরিচয় এখনো শনাক্ত হয়নি। সিআইডি এই তিনজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরবর্তীতে যাদের স্বজনরা লাশের সন্ধানে আসবে তাদের ডিএনএর সঙ্গে ম্যাচ করিয়ে লাশগুলো তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কেউ না আসে সে ক্ষেত্রে আঞ্জুমান মফিদুলকে লাশ বুঝিয়ে দেওয়া হবে এবং তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহে রাখা হবে।
মো. ফারুক হোসেন আরও বলেন, এই অবহেলাজনিত দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে কাদের দায় আছে, ভবন মালিকের দায়, নাকি রেস্টুরেন্ট মালিক ও ম্যানেজারের দায়, কোথায় কোথায় অবহেলা আছে, কোন কোন সংস্থা এখানে কাজ করার কথা ছিল, তারা কীভাবে কাজ করছে সব বিষয় আমরা পুঙ্খানুপুঙ্খ বিশ্লেষণ করছি।
ডিএমপির উপপুলিশ কমিশনার বলেন, বেইলি রোডে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি ঢাকা মেট্রোপাল্টন পুলিশও আগুন নিয়ন্ত্রণের আপ্রাণ চেষ্টা করেছে। কর্তব্যরত সার্জেন্ট সর্বপ্রথম আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন এবং তার প্রচেষ্টায় অনেকে জীবন বাঁচাতে সক্ষম হন। এই দুর্ঘটনার পরে ফায়ার সার্ভিস এবং রাজউক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিগুলো তাদের অনুসন্ধান শেষে রিপোর্ট প্রদান করার পরে যাদের বিরুদ্ধে দায় পাওয়া যাবে তাদের সবার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।