আব্দুল জলিলের মৃত্যুবার্ষিকীতে খাদ্যমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
নওগাঁয় মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ শহরের চকপ্রাণ এলাকায় মরহুম আব্দুল জলিলের কবরের পাশে কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারসহ জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সমাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
সকাল ৯টায় নওগাঁ-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও আব্দুল জলিলের ছেলে নিজাম উদ্দিন জলিল জন বাবার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। দুপুর দেড়টার দিকে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন খাদ্যমন্ত্রী ও নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাধন চন্দ্র মজুমদার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাভেদ জাহাঙ্গীর সোহেল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, নওগাঁ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ, নওগাঁ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ইকবাল শাহরিয়ার রাসেল প্রমুখ।
আব্দুল জলিল ১৯৩৯ সালের ২১ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৭ সালে তিনি নওগাঁ কে ডি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রকুলেশন, ১৯৬০ সালে বগুড়া আজিজুল হক কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৬৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (সম্মান) এবং ১৯৬৪ সালে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ৭ নম্বর সেক্টরের মুখ্য সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করেন আব্দুল জলিল। ১৯৭৩ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সাধারণ নির্বাচনে নওগাঁ সদর আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আবদুল জলিল পরপর দুইবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক, ১৯৯৬ সালে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ২০০২ সালে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০০ সালে বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। সর্বশেষ তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।