ছাত্রলীগনেতাকে তুলে নিয়ে এমপির বাসায় নির্যাতনের অভিযোগ
ময়মনসিংহের ত্রিশালের সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান ও তার ছেলে সাদমান সামিনসহ তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগনেতা ফয়সাল আহমেদকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এমপির বাসার তিনতলায় নিয়ে সাদমান সামিনের সহযোগী রাব্বি, আব্দুল্লাহ হকিস্টিক, লোহার পাইপ, লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেছেন, এ বিষযে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার ফয়সাল আহমেদ ত্রিশাল সরকারি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী এবং কলেজের মানবিক বিভাগ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। ঘটনা রোববার দুপুরের। ফয়সালকে ডেকে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে ককটেল ধরিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে বিচার দাবি করে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হাসান সোহান।
এ সময় সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আশরাফুল ইসলাম মণ্ডল, সাবেক পৌর কমিশনার দুলাল মণ্ডল ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান মাহমুদ উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, “স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে এমপি হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছেন তাদের এলাকা ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন।”
ফয়সাল আহমদ বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সে নৌকার প্রার্থী রুহুল আমিন মাদানীর পক্ষে নির্বাচন করায় স্বতন্ত্র বিজয়ী সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে নির্যাতন করেছেন।
এ বিষয়ে আজ বিকেলে ফয়সাল আহমদের বাবা আব্দুর রহিম বলেন, থানায় গেলে প্রথমে অভিযোগ নিতে চাননি। পরে বুধবার বেলা তিনটার দিকে এমপির ছেলে সাদমান সামিনসহ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছি।
এ বিষয়ে আজ দুপুর ত্রিশাল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তবে কার কার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ-৭, ত্রিশাল আসনের সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান বলেন, ফয়সাল নেশাখোর আমি তাকে চিনি না। সাবেক এমপি মাদানির ছেলে হাসান মাহমুদ বৃহত্তর ময়মনসিংহে মাদকের বড় ডিলার। সে উপস্থিত থেকে আমার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করেছে। সেই পিছন থেকে এসব করছে। ফয়সাল আমার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার করেছে। তার মোবাইলফোনে মেয়েদের ব্ল্যাকমেইলের প্রমাণ পেয়ছি। আমি তাকে ডেকে এনে পুলিশে সোপর্দ করেছি। তারা যা বলচে সব মিথ্যা।