অর্ধমাস পর রাতের ঢাকায় ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি
দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। রাজধানী ঢাকাসহ জনজীবনে হাঁসফাঁস। এমন পরিস্থিতিতে বৃষ্টির অপেক্ষায় দিন গুনছিল মানুষ। টানা ১৫ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সেই বৃষ্টির দেখা পায় রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই রাতে ঢাকায় বৃষ্টি হয় ১০ মিলিমিটার।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, গতকাল সব থেকে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগে। যদিও তাপমাত্রার তালিকায় টানা শীর্ষে থাকা খুলনা বিভাগ পায়নি বৃষ্টির ছোঁয়া। যদিও গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ সেখানে কিছুটা কমেছে তাপমাত্রা। একইসঙ্গে রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগেও কাল হয়নি বৃষ্টিপাত, তবে অসহনীয় তাপমাত্রায় পড়েছে প্রভাব; কমেছে কিছুটা।
গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি অঞ্চলে মোট বৃষ্টিপাত হয়েছে ১৮৮ মিলিমিটারের বেশি। এর মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলায় সব থেকে বেশি ৬৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এ ছাড়া এই বিভাগে চট্টগ্রামে ৯ মিলি, সন্দ্বীপে ১৫ মিলি, সীতাকুণ্ডে ১৩ মিলি, কুমিল্লায় ২৪ মিলি, ফেনীতে ৩১ মিলি, কক্সবাজারে ১১ মিলি, কুতুবদিয়ায় সামান্য এবং টেকনাফ ও বান্দরবানে সাত মিলিমিটার করে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বিভাগে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চাঁদপুরে ৩৬ দশমিক তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকায় গতকাল ১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বিভাগে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টাঙ্গাইলে ৩৯ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রংপুরে গতকাল সামান্য বৃষ্টি নামে। এই বিভাগে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৯ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সিলেট বিভাগের সিলেট এক মিলিমিটার বৃষ্টির ছোঁয়া পায়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ শুক্রবার (৩ মে) পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানিয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিহীন বরিশাল বিভাগে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল বরিশালে ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর বরাবরেরমতো খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় গতকাল ছিল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ দশমিক আাট ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই বিভাগে যশোর, রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ছিল দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে গতকাল দেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেখানে ছিল ৪০ দশমিক পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর পরপরই ছিল বগুড়া, সৈয়দপুর, বাদলগাছী, টাঙ্গাইলের তাপমাত্রা।