সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জে লাগা আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে। আগুন লাগার কারণ জানতে গত শনিবার (৪ মে) গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন বলে তখন জানানো হয়। তবে দুই কার্যদিবস হাতে রেখেই কারণ বের করতে আরও সাত কার্যদিবসের সময় নিয়েছে গঠিত তদন্ত কমিটি।

আজ শনিবার (১১ মে) প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বনের কোথাও এখন আর আগুন না থাকলেও পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিমের কাছ থেকে তদন্ত কমিটি এই অতিরিক্ত সময় নেয়। 

তদন্ত কমিটির প্রধান পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব আজ শনিবার বিকেলে বলেন, ‘সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি নির্ণয় করতে গঠিত বিশেষজ্ঞ আরেকটি টিমকে সহযোগিতা করতে হয়েছে। তাই আগের সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ বের করতে বিলম্ব হয়েছে। এজন্য দুই কার্যদিবস হাতে রেখে আরও সাত কার্যদিবসের সময় নিয়েছি।’  

এদিকে আগুন লাগার পরদিন (৫ মে) আগুনে সুন্দরবনে ক্ষতিগ্রস্ত জীববৈচিত্র্যের পরিমাণ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। সে সময় ওই টিমকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন প্রধান বনসংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী।

এর আগে তিনি ওই দিন ঢাকা থেকে ছুটে এসে সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান বনসংরক্ষক জানান, সুন্দরবনে বর্তমানে কোথাও আগুন নেই। পর্যবেক্ষণের জন্য কাজ করছে একটি টিম। 

আগুন লাগার পর পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মো. ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মো. রবিউল ইসলাম।  

গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের পূর্ব বনবিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। পরে প্রায় ৪৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বনরক্ষী, ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।