প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরে ওষুধ সরবরাহে প্রতারণা, গ্রেপ্তার ২
প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের ওষুধ ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি সরবরাহে প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে চক্রের মূল হোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১ (র্যাব)। গতকাল শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর মানিকদি ও দিয়াবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার (১৮ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাবের সহকারী পরিচালক (অপস অ্যান্ড মিডিয়া অফিসার) ও সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাহফুজুর রহমান। তিনি জানান, গ্রেপ্তাররা হলেন–নাজমুল হক ও ফারুক হোসেন।
র্যাবের এএসপি মাহফুজুর রহমান জানান, প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তর (ডিজিডিপি) ক্রয় প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যায়ের অনুসন্ধানে জানতে পারে, একটি প্রতারক চক্র জালিয়াতি ও মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে নকল ওষুধ ও মেডিকেল যন্ত্রপাতি বিক্রি করে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বড় অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ ঘটনার অনুসন্ধানে র্যাব-১ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।
মাহফুজুর রহমান আরও জানান, গ্রেপ্তার নাজমুল হক সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন উন্মুক্ত দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিরক্ষা ক্রয় মহাপরিদপ্তরের দেশি ও বৈদেশিক ভেটেরিনারি মেডিসিন এবং মেডিসিন অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স জন্য ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট দরপত্রে অংশগ্রহণ করেন তিনি। গত বছরের ২৫ এপ্রিল নাজমুল হক ওষুধ সামগ্রী সরবরাহের জন্য চার কোটি ১৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকার চুক্তি করেন। ঢাকার উত্তরা ব্যাংক লিমিটেডের মাধ্যমে চুক্তিমূল্যের বিপরীতে জামানত বাবদ ৪১ লাখ ৯৯ হাজার ৫০০ টাকা পে-অর্ডার জমা করেন। যেটি আদতে ভুয়া ছিল। এ ছাড়াও গত ৭ মে ডেলিভারি চালানের মাধ্যমে দুটি আইটেম দেওয়ার সময়ও প্রতারণা করেন নাজমুল। তবে তার সরবরাহ করা ওষুধের মান নিয়ে সন্দেহ হলে তা যাচাই করা হয়। যাচাইয়ে দেখা যায় তিনি নকল ওষুধ সরবরাহ করেছেন।
গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান র্যাব কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান।