অবহেলায় শিশুর মৃত্যু, সিভিল সার্জনের কাছে অভিযোগ
কিশোরগঞ্জে চিকিৎসকের অবহেলায় আফ্ফান নামে এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। দায়ী চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সিভিল সাজনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে বিক্ষোভ মিছিলটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায় এবং লিখিত অভিযোগ দেয়।
গত ২৫ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টারে জেলা শহরের রাকুয়াইল এলাকার বাসিন্দা ও নেত্রকোনায় বিএডিসির সহকারী পরিচালক হিসাবে কর্মরত কৃষিবিদ সারোয়ার এ জাহানের (উপল) চার বছর সাত মাস বয়সী শিশুপুত্র সামীম ইয়াসার আফ্ফানের টনসিলজনিত সমস্যার কারণে অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপাচার পরবর্তী জটিলতা দেখা দিলে ঢাকার একটি হাসপাতালে ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৭ মে সে মারা যায়।
এ ঘটনায় আজ দুপুর ১২টার দিকে জেলা শহরের রাকুয়াইল এলাকা থেকে শোকার্ত পরিবার ও বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ব্যানারে একটি মিছিল বের হয়। বিভিন্ন সড়ক ঘুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে যায়। মিছিলকারীরা দায়িত্ব পালনে অবহেলা ও গাফিলতি অভিযোগে নাক, কান গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানেসথেশিস্ট ডা. মো. আবু তাহের মিঞার রেজিস্ট্রেশন বাতিলসহ কঠোর শাস্তির দাবিতে সিভিল সার্জনের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়।
শিশুটির বাবা সারোয়ার জাহান উপল ও মা আফসারা মুনা বলেন, দুই চিকিৎসকের অবহেলা ও অদক্ষতাসহ ভুল চিকিৎসার কারণেই আফ্ফানের অকাল মৃত্যু ঘটেছে। এটা হত্যা। চিকিৎসকদের বলা হয়েছিল আমার ছেলের ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা আছে। তার পরও তাঁরা অপারেশন করেছে। এই চিকিৎসকদের জন্য আমার ছেলে আমাদের মধ্যে নেই। আমরা এই চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন গত ২৫ এপ্রিল রাত ১০টায় আফফানের টনসিল এবং অ্যাডিনয়েড গ্রন্থিতে অস্ত্রোপচার করেন। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই তার শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। ওই দিন রাতেই তাকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকায় ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, টনসিল ও অ্যাডিনয়েড রোগের লক্ষণই সর্দি-কাশি। আর টেস্টের রিপোর্টে নিউমোনিয়া ছিল না। নিউমোনিয়া থাকলে আমরা অপারেশন করতাম না।
সিভিল সার্জন ডা. মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।