‘গণমাধ্যমই পারে ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে’
উৎপাদক থেকে ভোক্তা পর্যন্ত সব পক্ষের মধ্যে পরিকল্পিতভাবে তথ্যের সঞ্চালন ও প্রচারের মাধ্যমে আন্তঃযোগাযোগ ঘটিয়ে একটি ভারসাম্যপূর্ণ স্থিতিশীল কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মত দিয়েছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।
গতকাল বুধবার (১২ জুন) রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষি তথ্য সার্ভিসের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক সেমিনারে এসব কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক ড. সুরজিত সাহা রায়ের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার।
সেমিনারে সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘স্মার্ট কৃষিতে ব্যবহৃত প্রযুক্তির মাধ্যমে যথার্থ সেচ এবং চাহিদাভিত্তিক সুনির্দিষ্ট উদ্ভিদ পুষ্টি, গ্রিনহাউজে জলবায়ু ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণ, মাটি, জল, আলো, আর্দ্রতা, তাপমাত্রা ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে কৃষকরা তাদের খামারের প্রক্রিয়াগুলো নিরীক্ষণ করতে পারে। সেই সঙ্গে দূর থেকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিতে পারে। শুধু তাই নয়, স্মার্ট বাজার ব্যবস্থাপনাও স্মার্ট কৃষির একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। প্রযুক্তির এই সম্প্রসারণে যত প্রকার উপায় রয়েছে , সেগুলোর মধ্যে স্বল্প সময় ও ব্যয়ে এবং অত্যন্ত ব্যাপক হারে প্রযুক্তি বিস্তারের সর্বাপেক্ষা যুতসই উপায় হলো গণমাধ্যম।’
একটি কার্যকর ‘সাপ্লাই চেইন’ প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের অংশগ্রহণ এখন সময়ের দাবি উল্লেখ করে ওয়াহিদা আক্তার বলেন, ‘কৃষিতে আমাদের গৌরবোজ্জ্বল অর্জনগুলো বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন ও ছড়িয়ে দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের গণমাধ্যম বিশ্বব্যাপী ভোক্তাদের বাংলাদেশের কৃষি পণ্যে আগ্রহ সৃষ্টি, কৃষিপণ্যের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন, বাজার সৃষ্টি ও চাহিদা বৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা এজেন্সি টু ইনোভেইটের (এটুআই) কালচার অ্যান্ড কমিউনিকেশন প্রধান পূরবী মতিন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ টেলিভিশনের (বিটিভি) কৃষি উন্নয়নমূলক অনুষ্ঠান ‘মাটি ও মানুষ’ এর উপস্থাপক রেজাউল করিম সিদ্দিক এবং চ্যানেল আইয়ের সাংবাদিক ও বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস।
সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা বি এম রাশেদুল আলম। এ ছাড়াও কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন সংস্থার প্রধান ও গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।