সময়ের সঙ্গে বাড়ছে রাজধানীমুখীদের ভিড়
পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটি শেষে অফিস-আদালত খুলেছে আজ বুধবার (১৯ জুন)। গতকাল বিকেল থেকে তাই রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। আর সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়ছে। রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, যাত্রাবাড়ী, সায়দবাদ, গুলিস্থান, মানিকনগর, গাবতলী ও মহাখালী ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আজ সকাল থেকেই স্টেশনে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। একে একে ট্রেন স্টেশনে এসে থামছে ও যাত্রীরা নামছে। বাপ্পি নামের এক যাত্রী বলেন, বনলতা এক্সপ্রেসে করে রাজশাহী থেকে ঢাকা এসেছেন। তিনি বলেন, এবার ঈদে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে ঈদ করতে বড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অফিস খোলার কারণে আজই আসতে হলো। তবে, ছুটি এ সপ্তাহ হলে ভালো হতো।
মানিনগরে ইয়াসিন আরাফাত নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় এনটিভি অনলাইনের। তিনি বলেন, মাদারীপুরে গ্রামের বাড়িতে ঈদ করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু, আজ অফিস খোলার কারণে ও খোলা থাকার কারণে দ্রুত আসতে হয়েছে। তবে, স্ত্রীকে রেখে এসেছি। আগামীকাল রাতে আবারও গিয়ে শনিবারে স্ত্রীকে নিয়ে আসব।
কামরুজ্জামন সুমন নামের এক যাত্রী বলেন, অফিস খোলায় খুলনা থেকে এসেছি। এখনও ঢাকা ফাঁকা দেখছি। তবে, আগামী সপ্তাহ থেকে ঢাকা ফ্রি হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, আজ সকাল ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত কমিউটার ও আন্তনগর মিলিয়ে মোট ১১টির মতো ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছেছে। এগুলোর মধ্যে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, তূর্ণা-নিশিতা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস, পর্যটক এক্সপ্রেস, ঢাকা মেইল, নীলসাগর এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো এসেছে। একইসঙ্গে সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের উদ্দেশে এখনও পর্যন্ত ২৪টি কমিউটার ও আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে গেছে। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ঈদ শেষে মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করেছে। গতকালের চেয়ে আজকে ফিরে আসা যাত্রীর সংখ্যা অনেকটা বেড়েছে। আগামীকাল থেকে এই সংখ্যা আরও বাড়বে।
কুমিল্লা থেকে আসা এশিয়া লাইনের হেলপার রহিম বলেন, এখনো ঈদ ফেরত যাত্রী সেভাবে আসছে না। তবে, এখনও অনেকে ঢাকা থেকে জন্মস্থানে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী শুক্রবার ও শনিবার থেকে পুরোদমে যাত্রীর চাপ বাড়বে। তবে, রাস্তায় কোন যানজট নেই। ভালো ভাবেই আসতে পারছি বলে জানান তিনি।