দেশ এখন চোর-ডাকাতে ভরে গেছে : মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে এখন দেশ চোর-ডাকাতে ভরে গেছে। দিল্লির দাসত্ব মেনে নেওয়ার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি। আওয়ামী লীগ এখন নিজেই ভারতের সেবাদাস হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। গণতন্ত্র ও আওয়ামী লীগ একসঙ্গে চলতে পারে না।’
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশে মির্জা আব্বাস এসব কথা বলেন।
অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
সমাবেশে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য রাখেন। নয়াপল্টনের এ সমাবেশে সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের এ সমাবেশ উপলক্ষে রাজধানীর কাকরাইল থেকে নয়াপল্টন হয়ে ফকিরাপুল পর্যন্ত লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।
‘আওয়ামী লীগ ভারতের সেবাদাস নয়’ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে সমাবেশে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অসম চুক্তির মাধ্যমে ভারতকে সবকিছু তুলে দিয়ে এখন অস্বীকার করছেন। আপনারা ভারতের সেবাদাস এটা প্রমাণ করে ফেলেছেন।
মির্জা আব্বাস আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আর গণতন্ত্র একসঙ্গে চলে না। একটি আরেকটির বিপরীত। দেশ ও গণতন্ত্রকে উদ্ধার করতে হলে চোর ডাকাতদের প্রতিহত করতে হবে।
সমাবেশে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও বক্তব্য দেন। নয়াপল্টনের এ সমাবেশে সকাল থেকে বৃষ্টি উপেক্ষা করেই নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যোগ দেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি আছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এর আগে সকালে বৃষ্টির মধ্যেই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছয়টি পিকআপ ভ্যানে অস্থায়ীভাবে সমাবেশের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়। টাঙানো হয় ব্যানার। মূল মঞ্চ তৈরির পাশাপাশি নয়াপল্টন থেকে শুরু করে ফকিরাপুল মোড় পর্যন্ত এবং অন্য পাশে কাকরাইল থেকে কর্ণফুলী মার্কেট পর্যন্ত লাগানো হয় মাইক। সকাল থেকেই ঢাকা মহানগরের পাশাপাশি আশপাশের জেলা ও মহানগর থেকে মিছিলসহ সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছেন।
উপস্থিত রয়েছেন—বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, জয়নুল আবেদিন ফারুক, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, অধ্যক্ষ সেলিম ভুইঁয়া, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বনির্ভরবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, সহস্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. মাইনুল ইসলাম, মজিবুর রহমান, আকরামুল হাসান মিন্টু, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফজলুর রহমান খোকন, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের সাবেক সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু, যুবদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাবেক কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্না, সহসভাপতি নুরুল ইসলাম নয়ন, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মাওলা শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের বর্তমান কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ ও যুবদলনেতা গিয়াস উদ্দিন মামুনসহ অন্যান্যরা।