সাবেক ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন কলেজছাত্রীর
গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলামসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরের আবেদন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (৮ জুলাই) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে এক কলেজছাত্রী এ আবেদন করেন। এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে আদেশের দিন ধার্য রয়েছে।
সাবেক ওসি ছাড়াও বাকি দুজন হলেন—দ্য বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক এম এম আমিনুল ইসলাম ও আবুল কালাম আজাদ ওরফে বিপ্লব সাবতো আজাদ। সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী জুয়েল মিয়া এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলার আবেদন থেকে জানা গেছে, ওই কলেজছাত্রী মানিকগঞ্জে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় সাবেক ওসি সৈয়দ মিজানুর ইসলামের কুদৃষ্টিতে পড়েন। তিনি বাদীকে বিভিন্ন সময় প্রেমের প্রস্তাব দেন। বাদী প্রত্যাখ্যান করলে তার ভগ্নিপতি ও আত্মীয়-স্বজনদের পুলিশ দিয়ে বাড়ি থেকে তুলে এনে নির্যাতন করেন সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। পরে ওই কলেজছাত্রী প্রেমের প্রস্তাবে রাজি হন। ২০২৩ সালে তারা বিয়ে করেন। এরপর সৈয়দ মিজানুর ইসলামকে মানিকগঞ্জ থেকে থেকে জয়দেবপুর থানায় বদলি করা হয়। তিনি সেখানে নিয়ে যান। সেখানে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে তারা ১০ দিন থাকেন। গত ১৭ জানুয়ারি ওই ছাত্রীকে মানিকগঞ্জ চলে যেতে বলেন সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। কারণ হিসেবে বলেন, তার স্ত্রী ও সন্তান আসবেন। সে না যেতে চাইলে তাকে বিয়ে করার কথা অস্বীকার করেন মিজানুর। এমনকি, তাকে মারতে দুজন লোকও পাঠান মিজানুর।
ওই কলেজছাত্রী ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পুলিশ সুপারের কাছে ওসি মিজানুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। পরবর্তীতে ধর্ষণ মামলা থেকে বাঁচতে বিয়ের কথা স্বীকার করেন সৈয়দ মিজানুর ইসলাম। তবে, কাবিননামা দেখাতে পারেননি। পরে ১৮ জানুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ে করতে আবার প্রস্তাব দেন মিজানুর। ১০ লাখ টাকা দেহমোহরে তাদের বিয়ে হয়। তাকে কাজী অফিসে রেখেই প্রথম স্ত্রীর কাছে চলে যান মিজানুর। আর কলেজছাত্রী তার মায়ের সঙ্গে মানিকগঞ্জ চলে যান। বিয়ের পর থেকে সৈয়দ মিজানুর ইসলাম তাকে ডিভোর্স দিতে এবং অভিযোগ তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছেন। এর মধ্যেই গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ওই কলেজছাত্রীকে নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে নেতিবাচতক সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।