তাসনিম খলিল-সামির বিচার শুরু
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আলজাজিরা টেলিভিশনে প্রচারিত একটি প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামিসহ সাত জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।
ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন আজ রোববার এ আদেশ দেন। আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) নজরুল ইসলাম শামীম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিচারক অভিযোগ গঠনের পরে মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ৭ এপ্রিল পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।
আইনজীবী আরও বলেন, এ মামলায় বাকি পাঁচ জন হলেন—কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, রাষ্ট্রচিন্তার ঢাকার সমন্বয়ক দিদারুল ভুইয়া, আশিক ইমরান, স্বপন ওয়াহিদ এবং ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাবেক পরিচালক মিনহাজ মান্নান।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ১০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) উপপরিদর্শক (এসআই) আফছর আহমেদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের এ মামলায় দাখিল করেন।
এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৫ মে র্যাব-৩ সিপিসি-১-এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে ১১ জনের নামে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন।
মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও পাঁচ-ছয় জনকে আসামি করা হয়। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, মহামারি করোনাভাইরাস সম্পর্কে গুজব, রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাঁরা রাষ্ট্রের জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি, অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন মর্মে অভিযোগ আনা হয়।
মামলার পর গ্রেপ্তার হয়ে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে মিনহাজ মান্নান ও দিদারুল আলম ভূঁইয়া জামিনে মুক্তি পান। কার্টুনিস্ট কিশোর ও লেখক মোস্তাক কারাগারে ছিলেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় গত ২৫ মে মোস্তাক কাশিমপুর কারাগারে মারা যান।
আসামিদের মধ্যে সায়ের জুলকারনাইন ওরফে সামি অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল বাতেন খানের ছেলে।